সুখবর : পোশাক রপ্তানিতে ফের দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। স্বীকৃতি পাবে জুনে।

সুখবর : পোশাক রপ্তানিতে ফের দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। স্বীকৃতি পাবে জুনে।

ডন প্রতিবেদন : ২০২১ সালে বাংলাদেশ বিশ্ববাজারে ৩ হাজার ৫৮০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। একই বছরে পোশাক শিল্পের বিশ্ববাণিজ্যে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনামের রপ্তানির পরিমাণ ছিলো ৩ হাজার ১০৮ কোটি ডলারের। সে হিসাবে, ২০২১ সাল শেষে ভিয়েতনামের চেয়ে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪৭২ কোটি ডলার মূল্যের। এর মাধ্যমে ভিয়েতনামকে টপকে ফের পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থানের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেতে আরও চার মাস অপেক্ষা করতে হবে। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এবং ভিয়েতনামের ট্রেড প্রমোশন কাউন্সিলের (ভিয়েট্রেড) পরিসংখ্যানে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) পরবর্তী প্রতিবেদন প্রকাশের মধ্য দিয়ে আগামী জুনে আনুষ্ঠানিক এ স্বীকৃতি পাবে বাংলাদেশ। ডব্লিউটিও সদস্য দেশগুলোর রপ্তানি বাণিজ্যের বিশ্লেষণ নিয়ে প্রতিবছর জুনে এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে। এর আগে ২০২০ সালে বাংলাদেশের চেয়ে ১ শ কোটি ডলার মূল্যের বেশি পোশাক রপ্তানি করে এগিয়ে যায় ভিয়েতনাম। ওই বছর বাংলাদেশ ভিয়েতনামের কাছে দ্বিতীয় প্রধান পোশাক রপ্তানিকারক দেশের মর্যাদা হারায়। ডব্লিউটিওর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিলো ২ হাজার ৮ শ কোটি ডলার আর ভিয়েতনামের পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিলো ২ হাজার ৯ শ কোটি ডলার। পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা বলছেন, ‘করোনার কারণে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানা ৬৫ দিন বন্ধ ছিলো। এ কারণে রপ্তানি আদেশও বন্ধ হয়ে যায়। আর এ সুযোগ কাজে লাগায় ভিয়েতনাম, রপ্তানিতে তাঁরা বাংলাদেশকে টপকে দ্বিতীয় অবস্থানটি দখলে নেয়। এখন আবারও বিশ্ববাজারে চাহিদা বাড়ছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের।’ ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি রপ্তানি তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ঘুরে দাঁড়ানোর ধারা অব্যাহত রয়েছে দেশের। ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মাসের রপ্তানির তুলনায় ২০২১-২২ অর্থবছরের একই মাসে রপ্তানি ৩০ দশমিক ৩০ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১ এর ডিসেম্বর মাসে ৪ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের পোশাক রপ্তানি হয়েছিলো, আর জানুয়ারিতে তা কিছুটা বেড়ে ৪ দশমিক শূন্য ৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। পণ্যের ক্যাটাগরি অনুযায়ী, জুলাই-জানুয়ারি সময়ে নিটওয়্যার পণ্য রপ্তানিতে ৩২ দশমিক ৮৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। অন্যদিকে, ওভেন পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে ২৭ দশমিক ২৩ শতাংশ। ফলে সব পণ্যের রপ্তানিতে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে। তবে রপ্তানির এ উল্লম্ফন করোনাভাইরাস-পরবর্তী বাজারের পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট বলে মনে করছেন পোশাক শিল্প উদ্যোক্তারা।