সুনামগঞ্জে হাওরের কৃষকের কান্না।

সুনামগঞ্জে হাওরের কৃষকের কান্না।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলা কাগজ; সুনামগঞ্জ : সীমান্তের ওপার ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের সুনামগঞ্জের সুরমা, যাদুকাটা, কুশিয়ারাসহ সকল নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ঝুঁকিতে পড়েছে অনেক হাওরের বাঁধ। অতিরিক্ত পানির চাপে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বহু বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। বাঁধ ভেঙ্গে একের পর এক হাওর ডুবছে। স্বেচ্ছাশ্রম দিনরাত বাঁধ মেরামতে কাজ করছেন হাওরপাড়ের কৃষকরা। সময় মতো বাঁধের কাজ শেষ না করা পানির চাপে দুর্বল বাঁধে ফাটল দেখা দেওয়ায় ফসলের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে বোরো চাষীদের মাঝে। জীবন জীবিকার সন্ধিক্ষণে বাঁধ রক্ষায় প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন হাওর পাড়ের কৃষকেরা। বাঁধ মেরামতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজনের পাশাপাশি সর্বসাধারণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) দুপুর ২টা নাগাদ সুরমা নদীর পানি ৫ দশমিক ৯৯ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছিলো। বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থায় থাকা এই পানি আরও বৃদ্ধি পেলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হবে বলেই জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। জানা গেছে, শনিবার সকালে নজরখালি বাঁধ ভেঙে টাঙ্গুয়ার হাওরে ঢুকতে শুরু করে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি। এমন অবস্থায় পানির নিচে তলিয়ে গেছে প্রায় ৩০০০ হাজার একর জমির ফসল। পরে সোমবার বিকেল নাগাদ শাল্লা উপজেলার দাঁড়াইন নদীর পানি উপচে বাঘার হাওরের প্রায় ৫০০ একর জমির ফসল তলিয়ে যায়। পানি উপচে তলিয়ে গেছে দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের একটি হাওর, সদর উপজেলার ছোট কাংলার হাওরসহ ছাতক উপজেলার কয়েকটি ছোট ছোট হাওর। আর এসব হাওরের ফসল ডুবে যাওয়ায় কান্না দেখা দিয়েছে কৃষকদেরমধ্যে। এমন অবস্থায় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে যেভাবে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, এমন অবস্থায় কৃষিপণ্যের ক্ষতি হতে দিলে আগামীতে চরম মূল্য দিতে হবে।