চাঁদপুরে অবাধে বিক্রি হচ্ছে জাটকা

চাঁদপুরে অবাধে বিক্রি হচ্ছে জাটকা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলার কাগজ; চাঁদপুর : পদ্মা-মেঘনায় বছরজুড়ে নিষিদ্ধ থাকলেও চাঁদপুর শহরের একাধিক বাজার ও পাড়া-মহল্লায় প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছের পোনা- জাটকা। আর এসব জাটকা বিভিন্ন দরে ক্রয় করছেন ক্রেতারা। মৎস্য বিভাগ বলছে, খুব শিগগিরই অভিযানে নেমে জাটকা ধরার ও বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। বুধবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চাঁদপুর শহরের কালিবাড়ী মন্দিরসংলগ্ন চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়কে প্রকাশ্যে জাটকা বিক্রি করতে দেখা গেছে।

শহরের পুরান বাজার দোকানঘর এলাকার জাটকা বিক্রেতা নুরুল আমিন জানান, তিনি এসব জাটকা বহরিয়া এলাকা থেকে ক্রয় করেছেন। দুই ভাগে তিনি ৭ হাজার ৫ শ টাকার জাটকা ক্রয় করেছেন জেলেদের কাছ থেকে। এর মধ্যে একদম ছোট সাইজের জাটকা বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ৩২০ টাকা এবং একটু বড় সাইজেরগুলো বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা। এসব জাটকার দৈর্ঘ্য ৫ থেকে ৭ ইঞ্চির মধ্যে। এ ছাড়াও গত কয়েকদিন শহরের পালবাজার এলাকা এবং ওয়ারলেস বাজারে প্রকাশ্যে জাটকা বিক্রি করতে দেখা গেছে একাধিক মাছ ব্যবসায়ীকে।

চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘বছরজুড়েই জাটকা ধরা নিষেধ। এ ছাড়া ইলিশ ডিম ছাড়ার পর নভেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে জুন মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত আট মাস জাটকা ধরা সম্পূর্ণ নিষেধ। এর মধ্যে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকাসহ সব ধরনের মাছ আহরণ নিষেধ থাকে। জাটকা বিক্রির বিষয়টি আমারও নজরে এসেছে।’

চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা তানজিমুল ইসলাম বলেন, ‘জাটকা ধরার খবর আমাদের কাছে এসেছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যস্ত ছিলো। এখন আমরা পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করবো। এ ছাড়া মৎস্য বিভাগ ছাড়া থানা পুলিশ এবং নৌপুলিশ যে কোনও সময় নিজেরাই অভিযান পরিচালনা করতে পারেন। এক্ষেত্রে আইনে বলা আছে, উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদের এবং তার ওপরের পদের কর্মকর্তা মৎস্য বিভাগ ছাড়াই জাটকা আহরণকারী ও বিক্রেতাদের আইনের আওতায় আনতে পারবেন।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় শুধু মৎস্য বিভাগ নয়, জনপ্রতিনিধি ও সচেতন নাগরিক এগিয়ে এলে জাটকা অনেকাংশে রক্ষা পাবে। প্রতিবাদ হিসেবে আমাদের জাটকা ক্রয় করা থেকেও বিরত থাকতে হবে।’